সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ছিলেন একজন অমর শিল্পী। স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই মানুষটি সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
লেখাকে উপস্থাপন করার অনন্য শৈলী তাঁর জানা ছিল। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক সাহিত্যিক। তাঁর লেখায় মাটি ও মানুষের কথা আছে। ‘আগুনের পাখি’ তাঁর অন্যতম আলোচিত উপন্যাস। একজন হাসান আজিজুল হককে বেশি করে চর্চা করতে প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে জেলা তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্য সংগঠন কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪৭৭ তম পাক্ষিক সাহিত্য আসরে বক্তারা এসব কথা বলেন।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, লোকজ গবেষক ও সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, অনুবাদক, কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এবারের বিষয় ছিল সদ্যপ্রয়াত হাসান আজিজুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা।
এসময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা মোর্শেদা আইভি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গল্পাকার কবি সোহেল ইকবাল।
আড্ডায় স্বরচিত ও প্রিয় কবির কবিতা পাঠে অংশ নেন, কবি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম, কবি মোঃ আমিরুদ্দিন, কবি নুরুল আলম হেলালী, কবি ও বাচিকশিল্পী শামীম আক্তার, আবৃত্তিশিল্পী কবি কল্লোল চৌধুরী, কবি জোসনা ইকবাল, কবি কানিজ ফাতেমা, কবি বুলবুল এ জান্নাত, তরুণ কবি মোঃ খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
বরাবরের ন্যায় আড্ডা সঙ্গীত পরিবেশনা করে মাতিয়ে রাখেন শিল্পী নুরুল আলম হেলালী ও শিল্পী জোসনা ইকবাল।
আড্ডা শেষে একাডেমীর জীবন সদস্য, সিনিয়র আইনজীবী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাচিকশিল্পী আবুল কালাম আজাদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সদস্য নুরুল আলম হেলালি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।